Saturday 24 May, 2008

একটি পেন্ডিং ক্ষমা


চিয়ারাপ! যারা দুর্বোধ্য বলে আমার ব্লগে আসতে ভয় পান তাঁদের জন্যে আজকের এই অবতারণা। এখানে আসার এক মাত্র উদ্দেশ্য ছিল হারিয়ে যাওয়া পরিবারটাকে খুঁজে পাওয়া। কারণ আমি বোনের মাথায় চাঁটি মেরে তাকে খ্যাপাতে পছন্দ করি। আর পাগলের মতো কোল খুঁজি - আমার দিদির।

আমার ছোট্টো বোন সুমি - তুমি কি রিয়াধে ফিরে গেছো? তুমি যদি কোনো দিন এই লেখাটা পড়ো আমায় মাপ করে দিও। তোমার এই অক্ষম দাদা তোমার জন্যে কিছু করতে পারেনি সেদিন। যে দিন তোমার প্রতি এক জন অকারণে য়্যাবিউসিভ ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। আমি তিরিশে পা দেওয়া এক জন লোকের কাছে আশা করেছিলাম তিনি এভাবে আচরণ করবেন না। তোমার মতো বাচ্চা মেয়ের জানার পরিধিটা এখনো সম্পূর্ন নয় এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তিনি যদি অকারণ গালাগালি না করতেন, দু কথায় বুঝিয়ে দিতেন ইতিহাস - তাহলে আজ হয়তো সেই ব্যক্তি তোমার ভালোবাসার ভাগ পেতেন। আবারো বলছি, প্লিজ ফর্গিভ মি ডিয়ার সিস, আমি যোদ্ধা নই বলে তোমায় বাঁচাতে পারিনি সে দিন। ব্যক্তি নয়, তার আচরণের বিরোধীতা করার শিক্ষায় তুমি শিক্ষিত হয়ে ওঠো, এই প্রার্থনাই করি। আর অনেক অনেক বই পড়ো, রেফারেন্স ফ্রেমটাকে মজবুত করে বানাতে হবে তো, উঁ? আমাদের সবার কাছেই একটা করে প্রিজ্ম আছে, যদিও সেটাতে সাত রঙ খেলাতে পারে খুব কম লোকে। আসলে ফাউ জিনিস তো - তাই আমরা এটার কদর ভুলে যাই। তো দেখতে দেখতে ওপরওয়ালার এক সময় ভীষণ রাগ হয়ে যায়। কিরে ব্যাটা! আমার জিনিসের মান রাখতে পারলিনে? তখন তিনি সেই প্রিজ্মের স্পন্দন থামিয়ে দেন। তুমি ঠিক রঙ খেলাতে পারবে - আর সে দিন সেই ময়ূরকন্ঠী ছটার ঝলসানিতে দেখবে বিজ্ঞান আর ধর্মের মহামিলন।
চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাবে তাদের কোনোদিন আলাদা অস্তিত্ব ছিল না। তুমি সেই ধর্মে দীক্ষিত হও যা তোমাকে আতুরজনের সেবা করতে শেখাবে, মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে এর পাঠ নাও। একই সাথে রসদ সংগ্রহ করে নাও মানবকল্যান-বিজ্ঞানের, বিবেকানন্দকে বুকে নিয়ে। আর আমাকে ছোট্টো একটা প্রমিস করো - যে তুমি এখন থেকেই ওনাদের বাংলা ভাষার ভালো ভালো শব্দগুলি শেখাবে। উনি এবং আরো কিছু লোক, এদের দেখে বড়ো কষ্ট হয় গো, Capra hircus-এর স্ত্রীলিঙ্গ শব্দটি ছাড়া বাদ বাকি যা কিছু ইশকুলে শিখেছিলেন - সবই ভুলে গেছেন ওনারা।

এই লেখাটি ভুল ভাঙানিয়া পোস্ট। হয়তো অনেকেই ভাবেন আমি য়্যারোগ্যান্ট। ঠিক তার উল্টো, আমি একেবারেই প্রচারবিমুখ, তাই রেপ্লাই দেওয়া হয়ে ওঠে না একেবারেই - যতো রাজ্যের লজ্জা এসে ভিড় করে। কারণ প্রতি-কমেন্ট করলেই তো আবারো লোকের চোখে পড়ে যাবে আমার হাবিজাবি। কষ্ট করে নিয়মিত এসে আপনারা আমার ছাইপাঁশ পড়েন - কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সঠিক ভাষাটাই খুঁজে পাচ্ছিনা। বয়সের দোষ আর কি! এই সামনের সীতম্বরে ঊণতিরিশ হবো - তাই মাঝে মাঝে স্মৃতিশক্তি খামখেয়ালি হয়ে উঠে।

হুমমমমম! মনে পড়েছে - আপনাদের সব্বার জন্যে অর্গ্যানিক ধনিয়া। চাটনি বানিয়ে খান ও আগামী ভ্যালেন্তাইন্দিনে বান্ধবীদের বোতল উপহার দেন - অবশ্যই ধনে পাতার সসের।

ভাই দেবদারু, তোমার অনেক দেরী করিয়ে দিলুম, এই বার আসল কথায় আসা যাক। দেখো, দুর্বোধ্যতার আশ্রয় নিই একটাই কারণে, ইন সেল্ফ-ডিফেন্সে, পাছে আমার মনের কথাগুলো কেউ জেনে ফেলে হিপক্রেট ঠাউরায়। যে ক্ল্যাসে আমি বিলং করিনা তাদের নিয়ে লেখবার অধিকার বোধ হয় আমার নেই।

তো, তোমার চেষ্টাটা খুব সুন্দর হয়েছে, আর দেখো কবিতার সঠিক ব্যাখ্যা বলে কিছু হয়না। পাঠক যেভাবে নেবে, ভালোবাসবে, সেইটেই চূড়ান্ত - আমরা সবাই রাজা। কথায় আছে যে ছবি কথা বলে, ভিডিও-ভাবনায় তুলে ধরার চেষ্টা করলুম আমার অনুভূতির অনুষঙ্গ, হীরক রাজার দেশে আসলেই একটি ম্যাস্ট্যার্পিস।

স্বাধীনতা-ষাঠ, আহ্লাদে কুপোকাত
চৌদ্দই মার্চ - নারকেলি কুলের যাকাত,
ভর-পেট খেয়ে চোখ ঢুলঢুল
যীশুরা ঘুমোয় পরে হাফ-পেন্টুল!

প্রথম লাইনটা সেল্ফ-এক্সপ্ল্যানেটরি, স্বাধীনতার ষাট বছরের ভর্সাপূর্তিতে সবাই ফুর্তিতে ব্যস্ত, রাষ্ট নিজের ক্ষত ঢাকতে শিশুশ্রম নামক প্রসাধনী- আইনের চলন করেছে গেল অক্টোবর থেকে। বেশ, এবার পরের সিঁড়িতে নামো, নারকেলি কুল খেতে খেতে। বিচিটা মুখ থেকে ফেলে দেওয়ার আগে এক বার দেখো, কি, বুলেটের মতো লাগছে না? হাফ-পেন্টুল মানে বয়স কম, বাচ্চা, শিশুরা তো যীশুই - তাই না? চৌদ্দই মার্চ নন্দীগ্রাম-ফায়ারিঙে বেশ কিছু শিশু-কিশোরের মৃত্যু ঘটে।

আমি কোনোদিনই এভাবে লিখি না - আজ হটাত করে কেমনতরো সাহস পেয়ে গেলাম এই অকপট স্বীকারোক্তির। প্রিয় সম্পর্কের কাঠগরায় দাঁড়িয়ে মিথ্যাভাষণের হিম্মত এই বান্দার নেই।

যতো দুরেই পালাতে চেষ্টা করো না কেন তুমি - ভালোবাসার টানে বারে বারে ফিরে আসতেই হয়। আমি যে চু-কিতকিত খেলবো বলে কথা দিয়েছি আমার ছোট্টো বোনটারে - না আসলে ও ঠোঁট ফুলিয়ে বসে থাকবে যে।

No comments: