Saturday 24 May, 2008

তুমি কে?


আধ-মানুষ-চওড়া গলিতে প্রথম রোদের আনাগোণা।
( তুমি কে? )
মদের চাটের প্লেট ধুয়ে দেয় কর্পোরেশনের জল তিরতিরিয়ে,
ছোটো বাচ্চা যেভাবে ছোটো-বাইরে করে।
( তুমি কে? )
আর বেশি ভূমিকা করলে সময় নষ্ট হবে,
একটু পরেই বিবাহিত বাবুরা বউয়ের-হাতে-তৈরী
ফ্রেঞ্চ-টোস্ট খেতে খেতে;
ডেইকল্টেই র‌্যাম্পদের নাভির প্রদর্শনী দেখবে ফ্যাশন-টিভিতে!
( তুমি কে? )
ছোটো বোনের কাল রাতেখড়ি হলো,
বহুদিনের পুরোনো রোগও নাকি সেরে যায় কিশোরী-ত্রিবলিতলে;
গন্ডারের খড়গের চে' অনেক কম দাম সেই কোমর-দোলানির!
( তুমি কে? )
রাতের পর রাত পরজীবিদের চকাচক চুমুও ফুরোবে কোনো এক রাতে,
সুস্মিতার মতো লবণাঙ্গ বসানোর টাকাও জমবে না ততোদিনে।
( তুমি কে? )
সে নেহাত পরের কথা;
গত বারের মতো এবারেও, বছরের শেষ রাতে, রাত বারোটার পরেও -
চুটিয়ে চলেছিল ক্লায়েন্ট-সার্ভার-টেকনোলজি।
ওয়াই-টু-কে সমস্যা হয়নি!
( তুমি কে? )
হু এসে দিয়ে গেছে কয়েক প্যাকেট রবার!
বিধায়ক দেঁতো হাসি হাসল - পছন্দ হয়নি প্রীতি-উপহার?
এমনভাবেই হাসতে হাসতে কামড়ে দিয়েছিল ঊরুতে কৃষ্ণপক্ষের রাতে,
লাল ওষুধ লাগানোর ছলে পঞ্চাশ-পেরোনো-ডাক্তারবাবুও;
হাত বুলিয়েছিল সেখানে সাত-আটবার।
( তুমি কে? )
চুন-ওঠা দেওয়ালে লটকানো খুলছি-কিন্তু-দেখাচ্ছি-না পিন-আপটার মতো,
প্রীতি-উপহারগুলোও রোজ রোজ ধুলো খায়;
কারণ ক্লায়েন্টরা কানে কানে বলে - ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর!
ঠিকই তো - রবারের মাদুলি পরে স্নায়ু-ব্যাবর্তন কোণের মান বৃদ্ধি করা,
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের পক্ষেও অসম্ভব;
সেরকম কিছু হলে কাংড়া-চিত্রে রাধার আহ্লাদী মুখ দেখা যেতো না - তাই না?
( তুমি কে? )
তিরিশটা ত্রপমাণা রাতের ম্যানুয়াল লেবারের দাম কয়েকটা বড়ো-খোকা-টাকা;
এই জন্যেই দশম শ্রেণীতে অসমীকরণ শেখানো হয় -
দৈনন্দিন জীবনে অঙ্ক, অ্যাই মরেচে, এ তো রচনার পয়েন্টের মতো হয়ে যাচ্ছে।
( তুমি কে? )
পাশের ঘরে সবে চল্লিশ-ছোঁয়া মীনার বড়ো ছেলেটা,
একতিরিশ তারিখে কাঁদেনি আগের রাতের মতো;
ওর কলেজে অ্যাডমিশনের টাকা যোগাড় হয়ে গেছে।
( তুমি কে? )





৯৭ - ০০

No comments: