Saturday 24 May, 2008

বইমেলা টুকে


রূপার সামনে অপরূপা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল
এই জিন্স যুগে সুতির শোভনতায়,
বুঝি বা কিছু বলতে চাইছিল -
সামান্য ক্লান্ত চুলের আধ-আড়ালে থাকা জুঁয়ের ভাষায়!
( প্রিয় পাঠক-পাঠিকা : সে কিন্তু সলেট্যারে রেপ্যার নয়, আর
আমিও য়্যুলেয়মের মতো কোনো প্রথিতযশা কবি নই, তাই
এ' কবিতাটা ইচ্ছে করলেই আপনারা স্বচ্ছন্দেই বাদ দিতে পারেন। )
আজকাল সভ্যতার যে সব প্রহসন বেরিয়েছে
কোনোটা গ্লসে - কোনোটা ম্যাট - কোনোটা বা এক্সপ্রেস ফেনেশ;
সে সব বিদেশি জৌলুষে নিজেকে মূল্যহীন করে তোলেনি সে
অমূল্যই ছিল - কপালের ওপরে ছোট্টো একটা, সাদা, চন্দনবৃত্তের ভূষণালোকে।
পাখা মেলে পালিয়ে যাওয়া ভাবনাগুলোকে ধরতে চাইছিল;
টিকেটের ক্যাউন্টর-ফয়েলটা আনমনে ছিঁড়তে ছিঁড়তে।
এই প্রথম বার নিজেকে বড়ো অসহায় মনে হলো।
ইংলেশ মেডিয়মে শুধু হায় বলতেই শেখায়
কিন্তু সে সব তো ঝাঁ-চকচকে মেয়েদের জন্যে;
সে কথা অই - পৃথিবীর, প্রাণের, মাটির গন্ধ লেগে থাকা মেয়েটিকে বললে
আমি নিজেই তো ফিকে হয়ে যাবো!
তাই সম্মানিত দূরত্বটুকু বজায় রেখেই শুরু হলো লুকোচুরি খেলা
কখনো মমার্তে, কখনো এন বি টি, কখনো বা আনন্দে -
তবুও মাঝে মাঝে দিশেহারা;
সুনীলদার জন্যে আজ প্রশ্নের ঢল নেমেছে গিল্ড-অফেসের সামনেই - প্রশ্নাতীতভাবেই!
তখনই ব্যথিত হয়ে উঠলো কলকাতার আকাশ
যে ব্যথার ছোঁয়া এক পলকের জন্যে দেখেছিলাম নিষ্পলকে সেই মেয়েটির চোখে;
পৃথিবীর না হলেও আমাদের চারপাশের,
এই পৃথিবীটার জন্যেই ছিল ব্যথাভরা ভালোবাসা -
আপনাদের জন্যে, এই সমাজের জন্যে, হয়তো বা নিজের অস্তিত্বের প্রশ্নে বিপণ্ণ
এই ছেলেটির জন্যেও।
তারপরেই অভিমানভরে বৃষ্টি হয়ে মিলিয়ে গেলো সে সায়াহ্নের অন্তরালে।





৯৭ - ০০

No comments: