Saturday 24 May, 2008

দিল তো পাগল হায় - একটি ( A ) নেপালী উপকথা


নমস্তে সাবজি। হাম ডিডি হায়। মানে দূরদর্শন? নেই রে বাবা - ডিডি কা মতলব ডিলু দর্জে। ও টেলর? আরে সাব তুম সমঝতা নেই, দ-র-জে, ফ্রম দ্য ল্যান্ডব গুম্ফাস আকা নেপাল - যেখানে লোকেরা অফার ইউ ছাং।

তো হামি ঘুমতে ঘুমতে কামননিনে চলে এলাম। এখানে একটা ভান্দু টায়প লড়কা আছে। মহান মুলুক না কি যেন নাম। ভান্দু মতলব ভাই + বন্দু। মোয়াখালির মুলুকবাবুর কবিতা দেখে হামার নিদিয়া ফুররররর হয়ে গেল। এখনি যাওয়ার কথা বলতে আছে রে পাগলা? তুমি না হামার গোল্ডেন ভান্দু মানে সোনা ভান্দু?? রোজ এমনি এমনিই খাও - ঝুনো হর্লিক্ছ, থুক্কু, ঝুনিয়র হর্লিক্স।

দেখো এল্টন দাদা কেমন সুন্দর দুলে দুলে গানা গাইছে। এ সব দেখে দিল গার্ডেন-গার্ডেন করো মুলুক মিঞা। আজ হামি তোমাকে আমার এক ফ্রেন্ডের ইশটোরি বলব। কলকটায় থাকে, এমানন্দ নাম, দেবানন্দের পয়েন্টোয়্যান-রেক্যারিন দেখতে।

তো হামার সেই ফ্রেন্ড কি বলে জানো? ডেথ নিয়ে তার উয়িশ্লিস্ট হল - সে ওর সাথে কোনো রকম ফোর্প্লে করবে না। এক দম টার্জান কা মাফিক...পুরো আউআউআউউউউউ...না থোড়া গলতি হয়ে গেল...সুপার্ম্যান কা ইশটাইলে রতিক্রিয়া করেগা। এক সেকেন্ড মে কেস খালাস। এক বার হামার সে দোস্ত পুছলো কি - তুমকো মালুম হায় সায়কায়াট্রিমে কেয়া বোলতা? হামি বললাম কি না বাবা না - হামি খালি কুক্রি চালাতে পারি। তখন ও হামায় সমঝে দিলো কি যিসকো ডেথ কা ফিলিং নেহি হুয়া - ও আভি বাচ্চা হায়। ও যব ছোটা লড়কা থা, সেমেস্টর-এক্স্যাম দেতা থা, য়্যুবিকা বিয়ার খাতা থা - তব পতা চলা ইয়ে কম্বখ্ত মওত কিস চিড়িয়া কা নাম হায়। ছুট্টি হয়ে গেছে - এ দিকে ব্যাঙ্গালর-কলকটা সব ফ্লায়ট ভর্তি। তখন হামার দোস্ত কি করলো, একটা ছ্যাকরা বাসে চাপল, ওটা ভোল্ভো ছিল না - সায়বারাবাদে গিয়ে সাহারাতে চাপবে। এখন অবশ্য জেট লায়ট বলে, তো যাই হোক, প্রায় আধা দিনের পথ - আর রাতের বেলায় বাস তো ঘুমে ঘুমে কোথায় যে নিয়ে যাচ্ছে খুদা গওয়াহ! সব লোগ নিদে আছে, লায়ট ভি বুঝায়ে দিয়েছে ড্রায়ভার, খালি হামার দোস্ত জেগে আছে - বোধ হয় ঠিক এই জন্যেই। সির্ফ কয়েক সেকেন্ডের জন্যে সারা শরীরে যেন কারেন্ট খেলে গেলো, হামার দোস্ত বুঝে গেলো কি এ সব নওটঙ্কি ছেড়ে ওকে ভি চলে যেতে হবে কিসি এক সাম, অওর উ লওন্ডিয়ার সামনে কোনো নখরা চলবে না - সালি যব আঁখ মেরে ফায়ন্যাল করবে তো পেয়ার যাতাতে উড়কে আসবে রে। বুড়া বাবাকে কসম, তোমরা যাকে গৌতামা বলো, হামি একটাও বানিয়ে বলছি না মুলুক ভাই। অওর একঠো বাত হামার দোস্ত বলেছিলো - লেকিন হামি মিনিং বুঝিনি। ও বলে কি - কওন জানে ইয়ে জিন্দেগী খুদ হি এক কয়টাস ইন্টেরাপ্টাস শায়দ?

তোমাদের ট্যাগোরসাবই বলেছে কি, এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন জিনিস, মরণে তাহাই তুমি করে গেলে ফিনিশ? আরে হামি ভাঙা ভাঙা বাংলা বলতে পারি রে! খালিপিলি মওতের কথা বলে দিল নাজুক করে দাও কেন? দু ঠো কিস্যা শোনো। এক বার কি হল সাল্লু কেবিসিতে গেছে। সব কোশ্চেনের উত্তর দিয়েছে ঠিক ঠিক - ওয়াও! আখরি সওয়ালটার সহি জবাব দিলেই এক কড়োর পেয়ে যাবে ও। তো ইশকিরিনে যা ফটু দেখাচ্ছে - ও বেচারা বুঝতে না পেরে মাথা চুলকুচ্চে! ব্যাটা জিন্দেগীতে কোনো দিন পরেছে ও মাল যে শার্ট বলে চিনবে?

অওর এক বার কি হল - সুইমিং করতে করতে মল্লিকার মন্দির দেখার খোয়াইশ জাগল। ব্যাস - যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। এ দিকে গার্ডবাবাজির তো আক্কেল পুরো গুড়ুম। সেকেওরিটি কোনো রকমে ভয়ে ভয়ে বলছে...মল্লিকা বেন...।

এ...বেন বোলনেকা নেই...!

সরি মল্লিকাজি - লেকিন আপ বিকিনি প্যাহেনকে অন্দর নেহি যা সকতে।

আব ইয়ে ভি উতর্না পড়েগা কেয়া জালিমো!

তো হামি তোমাকে কলকটার কথা বলছিলাম না? হামার দোস্তই থোড়া বহোত বেঙ্গলি শিখিয়ে দিয়েছে। বেড়াতে গিয়ে অনেক দিন ছিলাম সেখানে। এক বার কি হলো, লেকের পাশ দিয়ে হাঁটছি দুজনে, না জানি কাঁহাসে ইয়া বড়া এক চুহা চলে গেল সামনে দিয়ে। তো হামি ওকে পুছলাম তোমরা এতো বড়ো চুহাকে কি বলো ভাই বেঙ্গলিতে? বলে কি না বুদ্ধিজীবি! তো সে নাম শুনে হামার এক দম মাস্ত লেগেছিল, হামি পুরা কে পুরা ইয়াদ করে রেখেছি, বেঙ্গলিতে চুহার এতো বিন্দাস একটা নাম দিছে কেউ আগে জানতো কভি? তো অনেক ক্ষণ দিল খুলে হাসার পরে এমানন্দ হামায় বললো কি ওদেরও একটা গর্ত আছে, মাঝে মাঝে বেরোয়, আবার ঢুকে পড়ে - ওরা তো চুহাই স্যান্স দ্য ন্যাজ। কিঁউকি? দোস্ত বলে - যব ফন্দীগ্রামমে চকলেট বোমা পড়তা হায় তব ইয়ে বুদ্ধিজীবিলোগ চুকচুক কর্কে চায়াগ্রা খাতা হায়।

দে য়্যায়োক ওয়ন ফায়ন মর্নিন য়্যান্ড ফ্যাউন্ড ইটসেল্ফ এরেক্টেড - দেয়ার কন্সেন্স। তো ঝান্ডা নিয়ে চললো সবাই নোয়্যাম চম্স্কির মেসেজ পোস্টারে লিখে - আম্মা দেখ! কেয়া ঝামেলা - দোনোকো এক কর ডালা? নোয়্যাম অওর প্যামেল্যা। আরে বাবা - নন-পার্ফর্মিং আর ফিক্স্ড য়্যাসেট এক হল? প্রিয়াঙ্কা-বিপ্সের ওব্যেশ খারাপ করে দেওয়ার কথাটা ভুলে যেতে পারলি?? চম্স্কিচাচ্চুর নিজেরই তো ভাঁটার সময় চলছে - স্টকে এতো রস নেই যে চিঁড়ে ভেজাবে। নিদেন পক্ষে যদি আনতিস সিক্তবসনা ঊর্মিলা - কলকটায় বসে যেতো পিচ্চি ফ্র্যাঙ্কফুর্ট-মেলা।

এ সবই অবশ্য এমানন্দের জবানি। হামি তো থোড়া থোড়া বাংলা জানি। ও হামায় বলেছে কি - রাত গয়ি, বাত গয়ি, তালি বাজাও! তো ঐ সব চুহারা নাকি তালি বাজাতেও পারে না ঠিক ঠাক - নীল নীর্জনে য্যায়সা সুড়সুড়ি-ফিলাম দেখে অওর হাতের এমার্জেন্সি য়্যুস করে। হামি তখন দোস্তকে পুছলাম - কেন ভাই কলকটায় আর ভারতে ভালো বই হয় না রে আর ঘটকসাবের মতো? সালাম নমস্তে...কিং খান...তারপরে তোমাদের কে আছে না ড়িতুপড়নো?

আরে বাপ রেহ! শারুকের কথা বলতেই ও এতো খেপে গেলো কি পুছোহি মত। কি বললো শুনবে?

যদি কোনো দিন সামনা সামনি শারুককে পায়েগা - তো টপ ফ্লোরের চুল কচাকচ কামাকে সবসে পহেলে হাম উসকো শ্রীচৈতন্য বানায়েগা।

আরে এতো গুস্যা করছো কেন ভাই ওর ওপরে? যখন হামি ওকে পুছলাম তখন বলে কি - পানডু রাজাকা রথের মেলেমে খোয়া-হুয়া কুপুত্র গান শারুক খান, সে নাকি টিভিতে য়্যাড দিয়েছিল কোমল পানীয়মে হার্মফুল কেমিক্যাল নেহি হায়, অওর হামারা বাচ্চালোগ জলদুধ ছোড়কে ওহি খাতা সারা দিন। তুম কেয়া সোচতে - এমানন্দকা কোমল মস্তিষ্ক এমনি এমনি গরম হোতা?

আর সালাম নমস্তের কথা বলছিলে না? অল্রেডি তো পাব্লিকের মনে ধারণা বদ্ধমূল, দুষ্ট সায়েবলোগ শাদীবিহা নেই করতা, যব ভি চান্স মিলতা তো লড়কা-লড়কি খালি টুঁই টুঁই করতা। আরে - লিভিনের মতো সেন্সেটেভ ইস্যুকে কেউ এ ভাবে ডেপেক্ট করে? বিয়ে মানেই কি কমেন্টমেন্ট আর লিভিন একোয়্যাল্স টু পার্মেসেভনেস?? কেউ মনে হয় ওনার লার্জ ইন্টেস্টায়নে খুউব জোরসে একটা চিমটি কেটে পালিয়ে গেছিল - তাই সিদ্ধার্থজি সব গুলিয়ে ফেলেছেন। লোকে তো পুরো খচে বোম। প্রিটির পেটে বাচ্চা এসে গেছে, আর সায়ফ তুই বে করবিনে মানে, শিগ্গির শ্লা সোনামুখ করে সাত-ঘূর্ণী দে - নইলে খেলবোনা কিন্তু নেক্স্ট টায়ম। হাম ভারতীয় হায় না? আল্লা! কমিটমেন্ট কাকে বলে ঐ সমস্ত কাপল্সদের কাছ থেকে শেখা উচিত কলকটার বাঙালীদের। তোদের কি আছে র‌্যা? ইশতিরিকে ভাইছুটি বলে ডাকার চেষ্টা করে দেখেছিস কোনো দিন?? নি:স্বভারতী দেখে কেউ আর পয়সা ঠেকাবে না, যদি পারিস মুম্বই থেকে পোল্ড্যান্সের ট্রেনার নিয়ে আয়, তবে যদি কলাইওঠা বাটিটা একটু ভারি হয়।

গহেরাইকো তলাশো দর্জে ভাই, ফিল্যাডেল্ফিয়্যা দেখে শিখতে হয় সাব্জেক্টের ট্রিটমেন্ট, খালি এক বার দেখো ক্যায়সে হ্যাঙ্ক্সদাদানে ভাবনাওকো তরাশা। চিনি কাম ইসোল্সো সাম্তিন নায়স টু ওয়চ। টার্মিন্যালি ইল লোকেদের কথা বেশ একটু অল্ট্যার্নেটেভ ভঙ্গীতে বলেছেন ভদ্রলোক। নবমী সেক্সি এক কথায় স্প্লেন্ডেড। য়্যান হুস ঋতু - দ্য গ্রেট হোয়ায়ট পর্ন মেকার ফ্রম কলকটা? অতো ভালো তারাশঙ্করের একটা গপ্পো পুরো ঘেঁটে দিয়েছেন। না, খুল্লামখুল্লা দেখিয়েছেন বলে বলছি না, যৌনতার যে নিজস্ব একটা ন্যারেটিভ থাকে - সেটাই ঠিক মতো হ্যান্ড্ল করতে পারেননি অন্তর্মহলে। ঘুরে ফিরে সেই একই কথা, ব্যাক টু স্কোয়্যারোয়্যান, দ্য নিডব্দি রায়ট ট্রিটমেন্ট।

আঁয়! তো হামার এন্টার্টেন্মেন্টের কি হবে দোস্ত?

কেন? গান শোনো - মনীষা মুর্লি নায়ারের, এই সময় দাঁড়িয়ে যারা রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেন, সেই শ্রীকান্ত-লোপা প্রজন্মের মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী হলেন মনীষা। গলাটা এক বার শুনলেই মোহরদির কথা মনে পড়ে যায়। ওর দাদা মনোজও যথেষ্ঠ ভালো গান। প্রতিটি ক্যাম্প্যাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই ভাইবোন-জুটি। যদি বলি রবিবাবুর গানে কলেজ-সার্কিটের বাচ্চাদের আগ্রহ এনারাই রেজুভেনেট করেছেন - তাহলে খুব একটা ভুল বলা হবে না বোধ হয়। আসলে অবাঙালী বলেই ওনাদের এতো নিষ্ঠা আর সাধনা। আর কলকটার বাঙালী বোলপুর প্রসিদ্ধ মিষ্ঠান্ন ভান্ডার থেকে ন্যাংচা চুরি গেলে সিবিয়াই
তদন্ত করে।

হাঁ দোস্ত - হামি ট্যাগোরসাবের একটা কিতাব পড়েছি। শেষের কবিতা। লড়কা-লড়কি সালমে এক বার ডেটিং করতে আসবে। ফির সেপ্রেট বিল্ডিঙে উঠে ইশারা করবে, আরে, দিয়া জ্বালাইলেহ! ভেরি ভেরি নটি!!!!!

য়াপ! হে দর্জে ভাই, য়্যু নৌ সাম্তিন, আয় ফায়ন্ডিট প্রিরি খুউউউউউল ইভ্ন্ন্যাও।





আমার কথাটি ফুরোয়নি
নটে গাছটি মুরোয়নি,
হাফ-টিকেটে নন্দন-টুয়ে দেখেছো কি মৃগয়া?
ফ্রাই রাইখস্টাটের হাঁসুলি - তু তো গয়া!





A মানে আ = অ + অ ( অসফল তাই অসমাপ্ত )

1 comment:

admin said...

মৈথুর খবর কী? একেবারে উধাও!!!
ফেসবুকে ঠিকানা নাই ?
গুগলিং কৈরা খোঁজ পাইলাম আজ।

আমার ইমেইল : mukulbd [at] gmail.com