Saturday 24 May, 2008

মায়ের কাছে মামাবাড়ির গপ্পো


সামহোয়্যারিন বলে বাংলাদেশে একটা নতুন স্যাটেলাইট টাউনশিপ গড়ে উঠছে আস্তে আস্তে। কর্তৃপক্ষ ঠিক করলেন একটি কোর টিম গঠন করে তাদের হাতে নগরোন্নয়নের ভার তুলে দেবেন। অনেক বাছাবাছির পরে ব্যাপারটা এরকম দাঁড়াল - হাসান, হাসিন, মিশো, মিল্টন, শাহানা, সৈকত ও ইপ্সিতা।

বস প্রথমে একটু গাঁইগুঁই করছিলেন, কিন্তু হাসিন অনেক করে কেঁদেকেটে পড়ল, টিমে মেয়ে না থাকলে মস্তি করবো কি করে গো - অতএব!

বাকিরাও সমর্থন জানাল, সবাই তখন চর্মরোগে কাতর, শরীরের স্থানবিশেষ খালি চুলকায়!!

বসও তাই করাই যুক্তিসংগত মনে করলেন। এ বাজারে চিকেন
চলবে না, সবাই বার্ড ফ্লুয়ের এক ফুঁতে উড়ে যাবে, রেড মিটও একদম বারণ - জনসাধারণের এল-ডি-এল বেড়ে গেলে তার দায়িত্ব নেবে কে?

অতএব, বেয়ারা, চালাও ফোয়ারা - মানে নারীমাংস!

মেয়ে না থাকলে আজকাল ইয়ের পাব্লিক হেব্বি খচে যায়, ডিকশনারিতে মানে পাবেন না, আমি বলে দিচ্ছি - ইয়ে মানে হল চুল।

মেয়ে থাকলে যেমন সোন্দর মার্কেটিং হয়, আবার কোড লিখতে লিখতে কেলিয়ে পড়লে, বেশ একান্তে শরীর এলিয়ে ছোট্টো করে এট্টু রিক্রিয়েশানও হয় বটে।

আর এই মজার মৌতাতে কারো যাতে কারো কোনোরকম ভুল না হয়ে যায়, সে জন্যে প্রচুর পরিমানে ঐ ল্যাটেক্সজাত দ্রব্যটি যোগানোর বরাত পেল একটি লোকাল সংস্থা, রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কাছে যাদের কর্পোরেট অফিস।

এবার প্রশ্ন হল - কে আগে সুযোগ পাবে মেয়েদের সংগে মিচকেমি করার?

যুধিষ্ঠির তো গায়ের জোরে ঠিক করেছিলেন, হাসিন করল ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে।

আসলে তার পেটে খিদে মুখে লাজ, ভালো লাগে বুবস, কিন্তু লোকে লোন নিয়ে ক্যালাবে বলে মুখে বলে বব - মানে বব ডিলান।

হাসিনকে লম্বা না বলা যাক, বেঁটে বলা যায় না, কিন্তু তার অংগবিশেষের দৈর্ঘ্য য়্যাভারেজের চেয়েও কম - উত্তেজনা প্রাপ্তির পরেও সেটির কিস্যু হয় না।

হাসিন দেখলো এইতো ভালো মওকা। সে তার নন-পার্ফর্মিং
ফিক্স্ড য়্যাসেটটিকে হাতে নিয়ে ঘষতে ঘষতে হেঁড়ে গলায় বলল, মনে রবে কিনা রবে আমারে।

কোমলহৃদয়া মেয়েদের পক্ষে এ মর্মান্তিক দৃশ্য বেশিক্ষণ সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিল না, তারা একযোগে বলে উঠল, কুল বেবি কুল - য়্যু ফাইন্যালি গট দ্য ডিল।

এটা নতুন নয়, পেজফ্লেক্সও নীরবে হাসিনের এমন অনেক প্রি-প্রোগ্র্যাম্ড পেজোমি সহ্য করে, কারণ জাভার সংস্থাগত সংস্করণে ওর মতো ফান্ডা খুব কম লোকেরই আছে।

যারাই একটু-আধটু আইটি জানে আমার মতো, তারা জানে যে যারা এ লাইনে ক্লাস টেন পাশ, তারা ডটনেটের মতো প্ল্যাটফর্ম-নির্ভর বিষয়ে কিছু কাজ করে রুজিরুটি চালায় - আর জাভার মতো প্ল্যাটফর্ম-নিরপেক্ষ জাম্বো ব্যাপারে কাজ করতে গেলে যে বুকের পাটা চাই তা পাওয়া যাবে কেবলমাত্র স্নাতকোত্তর করলে।

আসলে হাসিনটা অনেকদিন একটা ঘরে আটক ছিল তো, প্রিজনার অফ জেন্ডা বা ঝিন্দের বন্দী, এক কথায় যাকে বলে জেন্ড-সার্টিফাইড - তাই বেচারা মেয়ে দেখলে এট্টু আদেখলামো করে মাঝে মাঝে।

এবারে আসি ইপ্সিতার কথায়। শাহানার কথা বলার দরকার নেই, কারণ ও এখানে নিয়মিত আসে, সবাই সবকিছু জানে। মৌলী-কিন্নরীদের সাথে ওয়াটার-কিংডমে কেষ্টো দাদাবাবুদের অক্লান্ত জলকেলির ছবিও দেখেছে সবাই ওর কাছ থেকে।

যা বলছিলাম, ইপ্সিতা শাহানার তুলনায় একটু লাজুক প্রকৃতির, আর ওর য়্যাসেটদুটি য়্যাসিমিট্রিক - সৌকতের মতে। মনে হয় সৈকত ঠিক কথাই বলছে, ইদানিং ওর চোখ দুটো একটু টেরিয়ে গ্যাচে, গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়িয়ে নেওয়ার লোভে।

ইপ্সিতার চোখ দুটি আবার উপচানো-টাইপ, মানে ওর মনের মানুষ ওকে একবার চোখ মারলেই, সেখান থেকে উপচে পড়বে সাঁওতাল রমণীর ঢলোঢলো যৌণতা।

তবে এসব কিছুর থেকেও ওর যে জিনিসটা আমায় সবচে বেশি করে কাছে টেনেছে - কেউ কি আণ্দাজ করতে পারতে পারবেন সেটা কি?

ওর মন।

আপনারা জানেন - ও প্রথম মাসের স্যালারিটা কিভাবে খরচ করেছে?

আংকেল, মানে ইপ্সিতার বাবা ও তাঁর কিছু বন্ধু মিলে, বাংলাদেশের একটা অর্ফ্যানেজ চালান। ঐ বোকা মেয়েটা করেছে কি, মাইনের টাকা হাতে পাওয়া মাত্রই একটা টিভি কিনে এনেছে, যাতে ওখানকার বাচ্চারা ওয়ার্ল্ড কাপ দেখতে পারে।

আমরা কিন্তু ভারি বুদ্ধিমান, কি বলেন, কক্ষণো ঘরের টাকা খরচ করে পরের জন্যে করতে আছে কখনো?





আজকের গপ্পো এখানেই শেষ, কারণ এই গল্পটা যে লিখতে আরম্ভ করেছিল, তার নেশা কেটে যাচ্ছে আস্তে আস্তে - বস্তুতাণ্ত্রিকতায় ভরা এই ভোগ্যবাদী পৃথিবীটা আবার তাকে গিলে খেতে শুরু করেছে।

No comments: