Tuesday 27 January, 2009

পাতালপুরীতে আনন্দ

টিকেটের লম্বা লায়নের অনেকটা পেছনে পড়ে যায় আনন্দ। ডাঁয়ে ইশকুল-কিশোরের নোটসের খাতার পাতা আসন্ন টেস্টের ভয়ে থরথর করে কাঁপে, বাঁয়ে সেল্সেক্সেকেউটেভের টাই প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ভাবতে থাকে আজ ক'টা টার্গেট পূরণ হবে, পেছনে ক্যাশিঞ্চার্জের বহু বছরের বিশ্বাসী ছাতাটা জল ছিটিয়ে হি হি করে হেসে ফেলে 
- সামনে দাঁড়ানো কলেজকন্যার অসতর্ক বন্ধনী লজ্জা পেয়ে প্রজাপতি হয়ে পালাতে চায় তা দেখে। ত্রিশ হতে আরো কয়েক মাস বাকি, ঊণত্রিশেই চিনি ছেড়ে শুগার্ফ্রি ধরেছে আনন্দ, বরাবরের গুড বয় সে। চতুরঙ্গে চিনি ব্যবহার করবে না য়্যাস্প্যার্টেম পেলেট, তাই নিয়ে ভাবনায় পড়ে যায় সে, বিভাজিকা ও জিহ্বার সঠিক অংশীদারিত্ব ছাড়া ইতিহর্ষ একেবারেই অসম্ভব। হঠাৎ কোত্থেকে একটা বাচ্চা ছেলে, যার বুক-পাঁজরের খোঁজ রাখলে ওরা নাওমির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দিত সঙ্গে সঙ্গে, নেস্ক্যাফের কেয়স্কে গিয়ে সটান হাতের পাতাটা বাড়িয়ে দেয়। 

একটু চিনি দাও না গো মাসি!

No comments: