Thursday 28 June, 2007

আঁধারলোকের ইতিবৃত্ত


রোজ রোজ ছলনার ছায়াপথ হাঁটা
ঘুম চোখে বিষমাখা আমিটাকে দেখা।
বৃষ্টি-পিছল আল, ছড়া-হাঁটু সম্বল,
ঘরহারা পথ খুঁজে ফেরে
সেই তুলসী-প্রদীপ, পার্থিব আলোবাসা, আর কি ডাকিবে অপূর্ব আব্দারে?
করুণা-অধর, মহাপ্রাণ তণ্ত্রপিতা, নিয়ণ্ত্রিত শ্বাস
কলঙ্কিত আনন্দের কৃষ্ণ-বাস্তব সহবাস।
চড় মেরে চুম্বন, সুন্দর, শালীন
চিরকৃতজ্ঞতায়, শুধবো না কোনোদিন, রেখাগাণিতিক সভ্যতারই অনুপম ঋণ।
এই প্রতারক করেই আশ মিটিয়ে অঞ্জলি-ইয়ুথ্যানাসিয়া
দীপক রাগে গুঞ্জে যাবে অভিমানী নীহারিকা।
সমস্ত ব্যথাভরা বিস্ময় উত্তীর্ণ, আঁধার-মানুষ আমি, আজ মৌনজড়
মৃত নয়, নিদ-মন, কঙ্কাবতীর শোভনশয়ান
তাই বুঝি মোহনরূপে সে নারী সর্বাঙ্গসুন্দর?
আমি পাপী, সে পবিত্র, এত বড়ো অপবাদ দেবো না তারে...
অহল্যা-অলিন্দ মোর, ভিনদেশী নিলয়, ভুল করে ছুঁয়ে ছিল পরশপাথরে।
সারা আকাশগঙ্গা আমার, কেটে যাই বাঁচার সাঁতার, খড়কুটো হাতড়ে
নোয়া না, আমি ন্যাকা, মাঝগাঙে মনে পড়ে -
নাও কই হতভাগা!

No comments: