Thursday 28 June, 2007

কাগজ-ফুল


নেকড়ের শ্বাসে ভয়ে তরাসে
নীল হয়ে যাওয়া অই ঘাস-মেয়ে,
স্মৃতির কীটেরা বুকে ঢুকে ঘুরে ঘুরে
কুরে কুরে চলেছে যে খেয়ে।

আলাপিছে কাঁটাতার
বহু আগে বহু ভাবে,
একই রাগে বার বার
তুলসীতলে প্রদীপ ঘোরে যে উল্লাসে -
সেই চুপ-একা মন-কেমন সব সাঁঝে।

বাড়ি যা ন্যাকা ছেলে -
মরে গেছে তোর সব সোঁদা আব্দার!

লোভী চোখ চেটে গেছে শেষ ক'টা হাড়।
নগর-কপালে টোকা?
ধ্যাত বোকা!
অই মেঠো হাত তোরে খুঁজবে না আর।

সব জানি, সব বুঝি, তবু বলি
রাগ করেনা সোনামনি,
মুছে গাল খুকুমনি
ছুটে আয়, বুকে আয়।

দেরি হল, বেলা যায়
চুমো দিয়ে জ্বালা নেবো,
ওরে ফোকলা সোহাগ-নন্দিনী!

সম্পর্কের সেই সুতো পড়েনিকো বাঁজা হাতে
তবু তোরে ছুঁতে দিবি?
মুছে দেবো, ব্যথা দেবো না
দেখ দেখ - মোরা পাঁচ ভাই হয়েছি একসাথে।

কপাল-সেলেটে একবার কাটাকুটি খেলবি?
আমারই কোলেতে মুখ গুঁজে
থাক শুয়ে চুপ করে পাগলি।

ওপারেতে ভালোবেসে, এপারটা ভাসালি!
এই বড়ো হাঁদাটাকে শুধু শুধু কাঁদালি?
দেখ মা রে, ভালো করে
নখ নেই - থাবা না রে।

আজ থেকে হোক শুরু
আনকোরা খাসা খেলা,
নতুন স্বপ্ননেশা-মিষ্টি এই মিতালি।

আমারই কলজে কেটে - অফুরান
দিয়ে যাব তাজা রাঙা কালি।

লিখে যা রাশি রাশি
হেসে হেসে যত খুশি,
নতুন প্রেম-ভুলে-ভরা
এলোমেলো আধো-আধো আছে যত বুলি!

No comments: